এমপি লিটন হত্যা : কাদের খান এবার পাঁচদিনের রিমান্ডে
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খানকে অস্ত্র আইনে করা মামলায় এবার পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল।
আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. মইনুল হাসান ইউসুব তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৭ মার্চ অস্ত্র আইনে করা মামলায় কাদের খানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। একদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে হাজির করে আবারও সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, এমপি লিটন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার কাদের খানের বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়। লিটন হত্যাকাণ্ডে তাঁর কিলাররা তিনটি অস্ত্র ব্যবহার করে। এর মধ্যে কাদের খানের লাইসেন্স করা একটি অস্ত্র স্বেচ্ছায় থানায় জমা দেন। এ ছাড়া তাঁর দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী বাড়ির উঠানে পুঁতে রাখা আরো একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আর বাকি একটি অস্ত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ কারণে কাদের খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক কাদের খাঁনের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বগুড়া জেলা শহরের কাদের খানের পরিচালিত গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে তাঁকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ডের চতুর্থ দিনের মাথায় কাদের খান আদালতে ১৬৪ ধারায় লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।এরপর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা কারাগারে রয়েছেন।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ পর্যন্ত পুলিশ লিটন হত্যার ঘটনায় কাদের খানসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।