মেয়র আরিফুলের বরখাস্তের আদেশ আপিলেও খারিজ
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
আদালত মেয়র আরিফুলকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে মেয়র হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরীর দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গত ১৩ মার্চ বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরিফুল হকের করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ স্থগিত করেন।
আদালতে আরিফুলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এ বিষয়ে আবদুল হালিম কাফি সাংবাদিকদের বলেন, আদালত স্থানীয় সরকার বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর (মেয়র আরিফুল) দায়িত্ব পালনে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা হয়, সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ব্যারিস্টার আবদুল হালিম কাফি জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সম্পূরক অভিযোগপত্র ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের আদালতে দাখিল করলে আরিফুল হকসহ নতুন করে নয়জন অভিযুক্ত হন। ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল হবিগঞ্জ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরের বছর ৭ জানুয়ারি আরিফুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি তিনি কারামুক্ত হন।