এরশাদের মামলা শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার শুনানি করতে পুনরায় বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
বিচারপতি রুহুল কুদ্দুছ ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য এ মামলার নথি আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেননি হাইকোর্ট। ওই দিন মামলার সব নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ মার্চ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ১৯৯২ সালে এরশাদকে এ মামলায় তিন বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করেছিলেন। সেটির শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আদালত রায় দেওয়ার আগে জানান, এ মামলায় এরশাদের সাজা বৃদ্ধি করতে সরকারের পক্ষ থেকে আরো দুটি আপিল করা হয়েছিল। সেই দুটি আপিলের ওপর শুনানি হয়নি। তাই শুনানি অপূর্ণাঙ্গ রেখে রায় দেওয়া যাচ্ছে না।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিল শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ ২৪ বছর পর এরশাদের সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরুর উদ্যোগ নেয় দুদক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এরশাদ। এ সময় বিভিন্ন স্থান থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাওয়া উপহার তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপপরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমেদ রাজধানীর সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
ওই মামলায় ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের রায়ে এরশাদকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই পরিমাণ অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে একই বছর হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এরশাদ। আদালত আপিল গ্রহণ করে নিম্ন আদালতের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। একই সঙ্গে জজ আদালতের নথিও তলব করা হয়। এরপর ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় দুদক।