বোমা ছুড়ে মারা হয়নি, হামলাকারী সমাগমের মধ্যেই ছিল : পুলিশ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ীতে ‘জঙ্গি আস্তানা’ ‘আতিয়া মহলের’ অদূরে যে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো কেউ ছুড়ে মারেনি বলে দাবি করেছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) আরো দাবি, বোমা হামলাকারী ভিড়ের মধ্যেই ছিল।
তবে এমন স্পর্শকাতর স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যুহের মধ্যে হামলাকারী কীভাবে প্রবেশ করতে পারল- তার দায় নিতে রাজি নয় এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রুকন উদ্দিন আহমদ।
বোমা ব্যাগের মধ্যে আগেই ঘটনাস্থলে ছিল উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সেখানে অন্ধকার ছিল, কয়েকশ উৎসুক জনতা অবস্থান করছিল। তার মধ্যেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে কেউ ছুড়ে মারেনি।’
অভিযান চলাকালে গত শনিবার সন্ধ্যায় ‘আতিয়া মহলের’ অদূরে পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ছয়জন মারা যায়, আহত হয় প্রায় ২৫ জন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মোগলাবাজার থানায় মামলা করেছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় শিববাড়িতে এসএমপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. রুকন উদ্দিন আহমদ।
এর আগে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আজো ঘটনাস্থনে গিয়ে বিস্ফোরণের সংগ্রহসহ পরিপার্শিক বিষয় তদন্ত করে। তাঁরা কয়েক ঘণ্টা ধরে আলামত সংগ্রহ করে। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছে বোমা বিস্ফোরণস্থল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেদিন ঘটনাস্থলে পাঁচটি মোটরসাইকেল ছিল, এর মধ্যে চারটির মালিককে খোঁজে পাওয়া গেছে। এ হামলার জন্য কোনোভাবেই পুলিশের অবহেলা দায়ী নয়।
মো. রুকন উদ্দিন আহমদ বলেন, সারাদিন লোকজনকে রেললাইনের ওপারে আটকে রাখা হয়েছিল। সন্ধ্যায় ব্রিফিংয়ের জন্য যখন সাংবাদিকরা ভিতরে প্রবেশ করেন, সেই সুযোগে হামলাকারীরা সেখানে ঢুকে যেতে পারে। অন্ধকার ছিল। শনাক্ত করা সম্ভব ছিল না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে, যেসব জায়গায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে তা স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।