জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছে: সাক্কু
‘যারা জনগণের সঙ্গে থাকে তারাই সফল হয়। আমি প্রথমে পৌর মেয়র ছিলাম। জনগণের সহযোগিতা ছিল বলেই আমি সিটি করপোরেশনের মেয়রও নির্বাচিত হয়েছিলাম।’
বৃহস্পতিবার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু এনটিভিকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছে।’
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘গত পাঁচ বছর আমি চেষ্টা করেছি মানুষের সঙ্গে থেকে যতদূর পারি সুযোগ সুবিধা দিতে। যতদূর আমার সমর্থ ছিল আমি চেষ্টা করেছি। নতুন সিটি করপোরেশনতো সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। এবার নির্বাচনের সময় আমি জনগণকে বলেছি আমি কী করেছি। দুইটি পৌরসভাকে এক করে একটা সিটি করপোরেশন করে দিয়েছিল, আমি কতটুকু উন্নয়ন করেছি কতটুকু ব্যর্থ হয়েছি সবই তুলে ধরেছি। আমি মিথ্যা কথা বলিনা, আমি বড় বড় কথাও বলি না যে সব করে ফেলব। এটা চলমান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়াই আমি মানুষকে বুঝিয়েছি যে কতটুকু পেরেছি। বলেছি, এতটুকু পেরেছি, এতটুকু পারিনি। বাকিটা করব। জনগণ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। জনগণ সব না পেলেও বিপদে আপদে আমাকে পেয়েছে। আমি তাদের সামনে দাঁড়িয়েছি, তাদের অভাব অভিযোগ শুনেছি। এসব শুনে কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেছি।’
পরাজিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমার সঙ্গে দেখা করবেন কিনা জানতে চাইলে সাক্কু বলেন, ‘আমার উচিত আগামীকাল তাঁর বাসায় গিয়ে অভিনন্দন জানানো। তবে যাবো না একটা দু:খে। আমি যদি শপথ নিতে পারি, তখন তাঁর বাসায় যাবো। গিয়ে বলব, তোমার যা এজেন্ডা ছিল আমারো তা-জলাবদ্ধতা ও যানজট। আসো আমরা একসাথে কাজ করি। যাবো না একটা দু:খে। গত দুই সপ্তাহে আমার পরিবার সম্পর্কে, আমার চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে। আমি নাকি চোর। চোর হলে আমি কীভাবে দুইবার নির্বাচনে জয়ী হলাম।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ১০১ কেন্দ্রের ফলাফলে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
স্থগিত দুই কেন্দ্রের মোট ভোট বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানের চেয়ে কম। দিনশেষে অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল।