বড়হাটের আস্তানায় একাধিক জঙ্গি : মনিরুল
মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানা’য় একাধিক ব্যক্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মনিরুল।
মনিরুল দাবি করেন, আস্তানায় অনেক বিস্ফোরক একং একাধিক লোকজনের অস্তিত্ব রয়েছে। আবহাওয়া বৈরী থাকায় আজকের জন্য অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে আবার অভিযান শুরু হবে।
‘জঙ্গি আস্তানা’র নিয়ন্ত্রণ নিতে দিনভর অভিযান চালায় সোয়াট বাহিনী। মুহুর্মুহু গুলি ও বোমার শব্দে কম্পিত হয়ে ওঠে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। সোয়াট তাদের এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। অভিযানে পুলিশ সদস্য ফয়সাল আহমেদ আহত হয়েছেন। বিকেল পৌনে ৫টায় পুলিশের সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে তিনতলা বাড়ির লোহার গেট ভাঙা হয়। এ সময় ঘরের ভেতর শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক।
আজ সকাল ১০টার দিকে তারা অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়ির পাশের গাছ কাটতে থাকে। এমন সময় বাড়ি থেকে জঙ্গিদের ছোড়া বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে পুলিশ সদস্য কায়সর আহত হন। তাঁকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোমার আঘাতে বাড়ির একটি দেয়াল ভেঙে পরে বলে জানা যায়।
মৌলভীবাজারের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ও পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ড দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে আরেক বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। গত রাতে সদর উপজেলার নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা বাড়ি থেকে চার শিশু, দুই নারী ও এক যুবকের ছিন্নভিন্ন লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। এদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শহরের বড়হাটে তিনদিন ধরে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানার চারপাশে ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক (কেয়ারটেকার) জুয়েল আহমেদকে নিয়ে চক্কর দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।