সাত খুনে সাজাপ্রাপ্ত র্যাব সদস্য গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্য হাবিবুর রহমান শরীয়তপুরে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশালের হিজলা উপজেলা সদর থেকে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
হাবিবুর রহমানের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কাঞ্চনপাড়ায়। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি তিনি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে নাসিকের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করে র্যাব-১১।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালতে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল। এরপর বিভিন্ন সময়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পলাতক থাকেন ১৩ জন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার ৩৫ আসামির মধ্যে ২৩ জন কারাবন্দি আছেন। এঁদের মধ্যে ২১ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।