আদালতে এরশাদ
রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় রায়ের জন্য আদালতে হাজির হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে এরশাদ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে হাজির হন। এর আগে দুপুর আড়াইটায় এ মামলায় এরশাদ আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
এ রায়কে কেন্দ্র দুপুরের পর থেকেই জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
এরশাদের মামলাটি আগে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি পর্যায়ে ওই আদালতের বিচারক বিব্রত বোধ করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠিয়ে দেন। এর পরে এ আদালতে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হয়।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন সুলতান মাহমুদ ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ। মামলার অপর আসামি এ কে এম মুসা মামলার শুরু থেকে পলাতক।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।