হাওরের বাঁধের দুর্নীতিতে জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত : বদিউল
যে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সেই বাঁধ নির্মাণের দুর্নীতির সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও জড়িত বলে দাবি করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
আজ বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জে সুজন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। শহরের জগৎজ্যোতি পাঠাগারে এ সেমিনার হয়।
এ সময় ফসলহানির জন্য বাঁধের দুর্নীতিকে দায়ী করে বদিউল বলেন, এ দুর্নীতিতে অনেকেই জড়িত আছেন। একজন-দুজন নয়, বহু ব্যক্তিরা আমাদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অনেকেই জড়িত। আমি আশা করব, যারা এর সঙ্গে যুক্ত, তাদের যেন দল-মত নির্বিশেষে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়।’
এ ধরনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ‘লোকদেখানো শাস্তি’ না দিয়ে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির’ দাবি জানান বদিউল। কিছু মানুষের দুর্নীতির কারণে হাওরের লাখ লাখ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুনামগঞ্জ জেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিও করা হয় সেমিনারে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত দাবিনামা পড়ে শোনান সুজনের জেলা শাখার সভাপতি হোসেন তৌফিক চৌধুরী।
পরে মুক্ত আলোচনায় সুজনের সুনামগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক মাসুম হেলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন শিক্ষা আন্দোলনের নেত্রী তাজিমা হোসাইন মজুমদার, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সৈয়দ শায়েখ আহমদ, সুজনের জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার প্রমুখ।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার জানান, আগামী ২৬ এপ্রিল ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে হাওরের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা তুলে ধরা হবে।