মন্ত্রী তো হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ডাকা রোববারের হরতালকে ইঙ্গিত করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক বলেছেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত সফর নয়। মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য বিল্ডিং (প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল) উদ্বোধন করব। এতে আপনি বাঁধা দিবেন আর মন্ত্রী তো হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে না। আপনার যা ইচ্ছে করুন। আসেন, দেখান। আপনার যা দেখানোর ইচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সুধী সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে রোববার বিজয়নগরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
নাসিরনগরের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নাসিরনগরে হামলার নায়ক মোকতাদির চৌধুরী। তাঁর উসকানিতে নাসিরনগরের হিন্দু পরিবার ও তাদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া মোকতাদির চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেন মন্ত্রী।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সির সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন প্রমুখ।
এ দিকে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ এই সুধী সমাবেশকে বর্জন করে আজ সন্ধ্যায় যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন খন্দকার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে কালোব্যাজ ধারণ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া মন্ত্রী ছায়েদুল হকের রোববারের অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে বিকেলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন রোববার বিজয়নগরে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেয়।