সাক্ষ্য দিলেন যুব মহিলা লীগের সেক্রেটারি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাজধানীর হাজারীবাগ থানা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মনি আক্তার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ১৫২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করা হলো।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী এজলাসে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন তাঁর সাক্ষ্য নেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আকরাম উদ্দিন শ্যামল সাংবাদিকদের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা জানিয়েছেন।
আকরাম উদ্দিন বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মনি আক্তার ঘটনার দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। গ্রেনেড বিস্ফোরণের পর তাঁর শরীরের কোমর থেকে পা পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে গ্রেনেডের ১৫০টিরও বেশি স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।
প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে রেনাল হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। ওই ঘটনা সম্পর্কেই তিনি ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি করেছেন।
সাক্ষ্য গ্রহণের সময় সাবেক মন্ত্রী জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ এ মামলায় কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
অন্যদিকে জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, পুলিশের তিন সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজির হন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত এবং শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।