বেরোবি উপাচার্য ১৩ ঘণ্টা পর মুক্ত
অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ১৩ ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় ফিরেছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. এ কে এম নুর-উন-নবী।
গতকাল বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ গিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে।
চাকরির দাবিতে বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভাকক্ষে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।
এদিকে, উপাচার্য ড. এ কে এম নুর-উন-নবীকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মুখতার এলাহী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমতিয়াজ বসুনীয়া, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ চন্দ্র বর্মণকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন এ বহিষ্কারাদেশে স্বাক্ষর করেছেন। বুধবার রাত ১০টার পর টেলিফোনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম নোবেল বিষয়টি জানিয়েছেন।
২০১৩ সালের ৬ মে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ড. এ কে এম নুর-উন-নবী। যোগদানের পর থেকে উপাচার্যের নানা স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
২০১৬ সালে শিক্ষক সমিতি লিখিত অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল রংপুরে গিয়ে তদন্ত করে। তদন্ত শেষে ছয় দফা সুপারিশসহ ১৬টি বিষয়ে উপাচার্যের দুর্নীতির অনিয়ম চিহ্নিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত দল। আজ মেয়াদ শেষ হচ্ছে উপাচার্য ড. এ কে এম নুর-উন-নবীর।