৫৮ দল নিয়ে জাতীয় পার্টির নতুন জোট
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। ইউনাইটেড ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (ইউএনএ) বা ‘সম্মিলিত জাতীয় জোটে’ ৫৯টি রাজনৈতিক দল শামিল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে মাত্র দুটি দলের নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন রয়েছে বলে জানা গেছে। এর একটি হচ্ছে জাতীয় পার্টি, অন্যটি ইসলামিক ফ্রন্ট।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নতুন জোটের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই এরশাদ নবগঠিত জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে জোটের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানান।
জোটের গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে এরশাদ বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে দুটি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট—এই চার শরিক নিয়ে আমরা বৃহত্তর একটি জোট গঠন করেছি। আরো দুটি নিবন্ধিত দলের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা কথা হয়েছে। তারাও আমাদের প্রাথমিক আলোচনায় আসার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। তাদের সুবিধামতো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানালে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
এর মধ্যে জাতীয় ইসলামী মহাজোটে আছে ৩৫টি দল এবং বাংলাদেশ জাতীয় জোটে আছে ২১টি দল। দুই জোটভুক্ত ৫৭ দল আর জাতীয় পার্টি ও ইসলামিক ফ্রন্ট নিয়ে মোট ৫৮টি নিয়ে ইউএনএ গঠন করা হয়েছে।
জোটের গুরুত্ব সম্পর্কে এইচ এম এরশাদ বলেন, ‘পৃথিবীর নানা দেশে জোটের রাজনীতির প্রবণতা বিরাজ করছে। আমাদের দেশেও এই ধারা অব্যাহত আছে। আমরা এই প্রবণতার বাইরে নই। জোটের রাজনীতির মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন দলের মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপনের সুযোগ থাকে, যা সংঘাতের রাজনীতির বিপরীতে সম্প্রীতির রাজনীতি প্রবর্তন করতে পারে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার চেতনা, ইসলামী মূল্যবোধ তথা সব ধর্মের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আদর্শের অনুসারী এবং ধারক ও বাহক। আমাদের অঙ্গীকারে আছে, এই জোটে কোনো স্বাধীনতাবিরোধীদের জায়গা হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান, জাতীয় ইসলামিক মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক, বাংলাদেশ জাতীয় জোটের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি।