আপিল শুনানিতে পূর্ণ বেঞ্চ না হলে অনাস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল শুনানিতে আপিল বিভাগের সব বিচারপতি অংশ না নিলে অনাস্থা দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার এ মামলার শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতের প্রতি এ কথা জানান। পরে দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি আগেই বলেছেন, আপিল বিভাগের সব বিচারপতি এই মামলাটি শুনবেন। কিন্তু এখন বলেছেন পাঁচ বিচারপতিই শুনানি করবেন। এ কারণে আমি বলেছি সকল বিচারপতির অংশগ্রহণ না হলে অনাস্থা দিতে বাধ্য হব। আপিল বিভাগে আস্থাহীনতা রয়েছে।’
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা। আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন বিচারপতি এই বেঞ্চে রয়েছেন। দুজন বিচারপতি নেই। ওই দুজন বিচারপতিসহ সাত বিচারপতির পূর্ণ বেঞ্চে এই মামলাটি শুনানি করা দরকার। পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ না বসা পর্যন্ত মামলাটি দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন জানান তিনি।
জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা তো বলেছি, মামলাটি নিয়মিত শুনানি করব। আর যখন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হবে, তখন আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি এতে অংশ নেবেন। এই নিয়ে আপনাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।’
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘একজন বিচারপতি অসুস্থ। আর একজন দেশের বাইরে। আপনি যদি শুনানি মুলতবির সুযোগ না দেন তাহলে আমার আস্থা নেই।’
এই পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি প্রধান আইন কর্মকর্তা, আপনি যা বলছেন বুঝে বলছেন?’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটা দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি অপসারণ বিষয় নিয়ে একটা সমাধান দরকার। আর আপনারা তো কোনো সময় আবেদন দাখিল করেননি।’
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল সময়ের আবেদন দাখিল করেন। এরপর মামলার পেপার বুক থেকে হাইকোর্টের রায়ের অবশিষ্ট অংশ পাঠ করে শোনান অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। রায় পড়া শেষ হলে আপিল বিভাগ ২১ মে এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করে দেন।