হাসপাতালের পুকুরে ভাসছে সরকারি ওষুধ!
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী কোয়ার্টারের পুকুরে ভাসছে সরকারি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ! আজ শুক্রবার সকাল থেকে স্টাফ কোয়ার্টার কম্পাউন্ডের পুকুরে ওই সব ওষুধ ভাসতে দেখা যায়।
তবে এসব ওষুধ কীভাবে পুকুরে এলো, তা কেউ বলতে পারছেন না। ভাসমান এসব ওষুধের মূল্য কয়েক লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শেফালী বেগম (৪৫) ও তাঁর ছেলে মামুনকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।
কোয়ার্টারের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ ভোর থেকে ওষুধগুলো পুকুরের পানিতে তাঁরা ভাসতে দেখেন। কিছু ওষুধ পুকুরের পাড়ে দুই কোয়ার্টারের মাঝখানে পুড়িয়েও ফেলা হয়েছে।
যে ওষুধগুলো ভাসছে, সেগুলোর গায়ে লাল-সবুজ রং এবং সেগুলোর কোনোটির ২০১৮, কোনটির ২০১৯ সাল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের ওষুধ চিহ্নিত করা গেছে।
সেগুলো হলো সেফট্রিয়াক্সোন ইনজেকশন, জেএমআই সিরিঞ্জ, ডেস্কামেটথাসন সোডিয়াম, লার্ব ৫০+, লুমনা-১০, ডমপেরিডন, ভ্যাসোপিস্ক, থিওফাইনিল, জ্যাসোকাইন জেল, ডাইক্লোফেন ইনজেকশন, এনক্লোগ প্লাস, সালবুটামল, এজিথ্রোমাইসিন ৫০০।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন বলেন, মেডিকেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল হক জানান, তিনি খবর পেয়ে স্টোর অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন। সরকারি এসব ওষুধ ওই হাসপাতালের কি-না এবং সেগুলো কীভাবে পুকুরে গেল, তা খতিয়ে দেখা হবে। এ জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি হাসপাতালের স্টোরের রেজিস্টারও মিলিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।