ধর্ষণের প্রতিবাদ করলে বাধা আসে : ইমরান
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, খবরের কাগজে ধর্ষণের খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এর প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাধা আসে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে খুনি-ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন ইমরান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা বার্তার সম্পাদক এ এন রাশেদা, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন।
ইমরান সরকার বলেন, ‘প্রতিদিন খবরের কাগজে দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সন্তানের বাবা আত্মহত্যা করে। নারীদের ধর্ষণ করা হলে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয় না। আবার এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাধা আসে।’
আন্দোলন, সংগ্রাম করলেও অপরাধীদের ঠিকমতো বিচার হয় না অভিযোগ করে ইমরান বলেন, ‘কুমিল্লার তনুকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করা হয়েছিল। যার জন্য সমস্ত দেশবাসী আন্দোলন করেছিল। কিন্তু অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার কিছুদিন আগে বনানীতে দুই ধর্ষিতা নারী ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে আসলে পুলিশ বিরুদ্ধে মামলা নিতে আপত্তি করে। পরবর্তীতে মামলা নেওয়ার পরে গ্রেপ্তার করতে উদাসীনতা দেখায়।’
বনানীর দুই নারী ধর্ষণকারীদের বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, বাকি তিনজনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। আর তাদের (আসামি) জন্য যে আইনজীবী সুপারিশ করবে তাদের বিরদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘যদি নিরীহ হজরত আলীর মতো যদি আমাদের আত্মহত্যা করতে হয়, তবে আত্মহত্যা করার আগে যা করা দরকার তাই করা হবে। আত্মহত্যা করার আগে সকল অপরাধীর মূলোৎপাটন করা হবে। তার জন্য যেসব বিদ্রোহ করা দরকার, তাই করেই আত্মহত্যা করব।’
সমাবেশে সব ধর্ষক, খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান ইমরান।
মুক্তিযুদ্ধ কেন হয়েছিল- এমন প্রশ্ন রেখে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করেছিল। এ বৈষম্য দূর করার জন্য যুদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন দুদিন পরপর আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে মানুষ ডুবে যাচ্ছে। যার প্রধান কারণ হচ্ছে বৈষম্য আর দুর্নীতি।’