সানি আমার সঙ্গে সংসার করছে না : নাসরিন
আদালতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্রিকেটার আরাফাত সানি সংসার করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী দাবিদার ও মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা।
আজ রোববার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের মামলায় জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার আরাফাত সানির জামিন বাতিলের আবেদন নাকচের সময় আদালতে এই অভিযোগ করেন মামলার বাদী নাসরিন। তবে সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম জামিন বাতিলের আবেদন নাকচ করে তা বহাল রাখেন।
এ বিষয়ে সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আইসিটি আইনের মামলায় সানির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আসায় এ আদালতে আবারও নতুন করে জামিনের আবেদন করি। বাদী নাসরিন জামিনের আপত্তি জানিয়ে জামিন বাতিলের আবেদন করেন। কিন্তু শুনানি শেষে বিচারক জামিন বহাল রেখে আগামী ১৭ জুলাই অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেন।’
এ বিষয়ে মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সানিকে আমি আমার জিম্মায় জামিন করিয়েছি। কিন্তু সে আমার সঙ্গে সংসার করছে না।
আদালতের আদেশ আমান্য করছে। জামিন দেওয়ার সময় বিচারক বলেছিলেন, সানি কিন্তু জামিন পাওয়ার পর আর সংসার করবে না।’ তিনি বলেন, ‘জামিনের পর সানি আমার বাসায় এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক দেয়। আমি পরে সেই চেকটি ছিড়ে ফেলি। এরপর সানি আমাকে অনেক মারধর করে। আমি রাত ১টায় হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাই। পরের দিন সকালে মোহাম্মদপুর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বলে আপনি আগেই একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। তাই নতুন করে মামলা করার দরকার নেই। আমরা অভিযোগপত্র দেওয়ার সময় এ তথ্য দিয়ে দেব।’
নাসরিন বলেন, ‘সানি কারাগারে থাকার সময় আমি অনেক বার দেখা করেছি। আমাকে সে বলেছে, তুমি এলে আমার ভালো লাগে। আমার সঙ্গে অনেক ইমোশনাল কথা বলেছে। সানি বলেছে, যা হইছে, হইছে। আমি তোমার সঙ্গে সংসার করব। তুমি আমাকে বের কর, সামনে আমার প্রিমিয়ার লিগের খেলা আছে।’
মামলার বাদী নাসরিন বলেন, ‘আমি কখনোই তাঁর ক্যারিয়ার নষ্ট করতে চাই নাই। সবাই আসলে সংসার করতে চায়। আমিও সংসার করতে চাই। এ কারণে আমি তাঁকে (সানি) বের করেছি। এ দুই মাস সে জামিনে ছিল। তখন দেখা করছে। কিন্তু সে আমার সাথে একদিনও সংসার করেনি। আমাদের কোনো দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল না।’
তবে আইনজীবী জুয়েল আহমেদ বলেন, নাসরিনের সঙ্গে সানির সংসার ঠিকমতো চলছে। নতুন একটি বাসা ঠিক করা হয়েছে। সেই বাসায় কিছু দিনের মধ্যেই তাঁরা দুজন উঠবেন। মারধরের কথা সত্য নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
গত ৬ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াহহিয়া খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) এস এম মাসুদুজ্জামানের আদালতে সানির বিরুদ্ধে তথ্য ও প্রযুক্তি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নাসরিন সুলতানার দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের এ মামলায় সানি জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায়ও তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন।
চলতি বছরের২২ জানুয়ারি সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় একদিনের রিমান্ড ভোগ করেছেন সানি। এর পর বেশ কিছুদিন কারাগারে আটক ছিলেন সানি।