গায়ে জ্বর, ‘রিপোর্টে’ ক্যানসার, ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী। আর এরই জের ধরে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের অভিযোগ, যথাযথ চিকিৎসা না করায় মারা গেছেন আফিয়া আক্তার চৈতি (১৯) নামের ওই ছাত্রী।
আফিয়া আক্তার চৈতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা।
জানা যায়, গতকাল বুধবার জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আফিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান চৈতি।
এ ব্যাপারে সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মতিউর রহমান এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, আফিয়া আগেই একটি রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন। তাতে বলা হয়, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। সেন্ট্রাল হাসপাতালে আফিয়ার ক্যানসারের চিকিৎসা হয়নি। তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। আগের চিকিৎসকরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তা যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন।
অধ্যাপক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমরা ওকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার খুব বেশি সময় পাইনি। আমরা কোনো বিষয় লুকাইনি।’
সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আফিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। শিক্ষার্থীরা চার-পাঁচটি কম্পিউটার, একটি টেলিভিশন সেট, কয়েকটি কক্ষের দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।
এ ব্যাপারে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালে মারা যান। এরপরই আফিয়ার সহপাঠীরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। হাসপাতালের একজন পরিচালক ও একজন চিকিৎসক থানায় এসেছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ এম আমজাদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আফিয়া যেহেতু প্রথমে ক্যানসার রোগের রিপোর্ট নিয়ে যায়, তখন নতুনভাবে পরীক্ষা করার প্রয়োজন ছিল। আফিয়াকে পরীক্ষা না করেই হাসপাতালের চিকিৎসকরা ডেঙ্গুর চিকিৎসা করেন। তাই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আফিয়ার পরিবারের সঙ্গে কথা হলে আইনগত ব্যবস্থার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’