আরেকটি শাপলা চত্বরের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে : কাদের
বিএনপি হেফাজতে ইসলামকে দিয়ে মে মাসে শাপলা চত্বরে আরেকটি অবরোধ করার গোপন ষড়যন্ত্র করছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তখন তো ঢাকাবাসীকে শাপলা চত্বরে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এখন সমালোচনা করছেন। মন খুব খারাপ। আসলে মে মাসে তলে তলে তাদের আরেকটি শাপলা চত্বর বাস্তবায়নের চেষ্টা শেখ হাসিনার বাস্তববাদী কৌশলের কারণে ভেস্তে গেছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে যুবলীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিবের সমঝোতার আহ্বানের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কিসের সমঝোতা? কী সমঝোতা? কার সঙ্গে? সমঝোতার পরিবেশ কারা নষ্ট করেছিল?’ ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্টসহ বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সমঝোতা কীভাবে হয়? এই পরিবেশ কারা নষ্ট করেছে?’
২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যানের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারপরও সমঝোতা কীভাবে করব? সমঝোতার রাজনীতির মানসিকতা কি তাদের আছে? প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুয়ার বন্ধ করে সমঝোতার দরজা তারা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সমঝোতা চেয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছে তা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনে আসুন, আমরা কি টেনে আনব? এটা সুযোগ বা করুণা না। যদি রাজনীতি করেন, তাহলে এটি আপনাদের অধিকার। আর নির্বাচন কমিশনে এখন আপনাদের একজন, আমাদের একজন; লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড।’
বিএনপির ভিশন-২০৩০-এর সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘তারা ভিশন মানে, কিন্তু ইভিএম মানে না। এটা স্ববিরোধী।’
বিএনপির অভ্যন্তরেই গণতন্ত্রের চর্চা নেই বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আমরা বর্ধিত সভা করছি। নতুন সদস্য নিচ্ছি, সদস্য রিনিইউ করছি। যাতে করে আমাদের মধ্যে কোনো প্যারাসাইট ঢুকতে না পারে, সে চেষ্টা করছি। আওয়ামী লীগকে পরগাছামুক্ত করতে এবার অনুপ্রবেশকারী ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। আর এটি হবে নির্বাচনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।’
‘সমালোচকরা বড় বন্ধু। মোসাহেবিরা, চাটুকাররা বড় শত্রু। এর চেয়ে শত্রু কেউ নেই’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে দেশকে ছোট না করে জনগণের কাছে নালিশ করার আহ্বান জানান।
নেত্রকোনার প্রত্যন্ত হাওরাঞ্চল খালিয়াজুড়ী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ত্রাণ দিয়েছেন। আর মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে আসার আগে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে যায়। তাদের অনেক ব্যস্ততা। এদেরকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত করবেন না। সবকিছুরই নিয়ম আছে, কমনসেন্স থাকা দরকার।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।