দুদকের মামলায় জামিন পেলেন মেয়র মান্নান
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এম এ মান্নানকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মেয়র মান্নানের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।
তবে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বারে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন খুরশিদ আলম খান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২১ মে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে সাত কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় ও অনুদান প্রদানের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছেন দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সময়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন স্মারকে নয় কোটি টাকা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দের শর্ত ছিল ‘বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ কোনো অবস্থাতেই ব্যয় করা যাবে না। স্যানিটেশন সুবিধা শতভাগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বরাদ্দ করা অর্থের ২০ ভাগ অর্থ স্যানিটেশন কাজে ব্যয় করতে হবে এবং অগ্রগতির প্রতিবেদন যথাসময়ে অত্র বিভাগে প্রেরণ করতে হবে’। সিটি মেয়র মান্নান বরাদ্দ করা নয় কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব হিসাব নম্বরে জমা রাখেন। পরবর্তীকালে দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নং ১/২০১২-১৩ মূলে বিজ্ঞপ্তিত এবং বিভিন্ন বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিল ও অনুদান বাবদ সাত কোটি ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয় করেন। ওই ব্যয়গুলো করা হয়েছে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেয়াদে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয়ের সুস্পষ্ট শর্ত লঙ্ঘন করে বাজেটভুক্ত নির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া অন্য খাতে ব্যয় এবং অনুদান বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান ব্যক্তিস্বার্থে নিজে ক্ষমতাবান হওয়ার জন্য এবং অন্যকে লাভবান করার জন্য মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।