‘সক্রিয় নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘সক্রিয় নির্বাচন কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ একই বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ কাজে আসবে না, যদি না নির্বাচনকালীন সরকারের ওপর কমিশনের কর্তৃত্ব না থাকে।’
আজ বুধবার এনটিভির সঙ্গে আলাপচারিতায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে এভাবেই নিজেদের অভিব্যক্তির কথা জানান হোসেন জিল্লুর রহমান ও এম সাখাওয়াত হোসেন।
দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি। এর আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।
ওই লক্ষ্যে আগামী দেড় বছরের কাজের একটি খসড়া রোডম্যাপ (কর্মপন্থা) ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি, আইনি সংস্কার, সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন দলের নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচনী আইনের ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন।
এম সাখাওয়াত বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখানে হয়তো সহায়ক সরকারের ফর্মুলা দিতে পারবে না। কিন্তু আমার মনে হয় নির্বাচন কমিশন বলতে পারে আইনের মধ্যে এই এই জিনিসগুলো আমার পরিবর্তন দরকার। সেটা যে ধরনের সরকার হোক, যাতে ওই সময়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব সরকারের ওপর থাকে।’
আর সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনের শুভ উদ্দেশ্যকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘একটা আস্থার নির্বাচন তৈরি করতে হলে নির্বাচনকালীন সরকারের সততা এবং শুভ উদ্দেশ্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সক্রিয় নির্বাচন কমিশন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তৃতীয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন নির্বাচনী পদক্ষেপ সঠিকভাবে নিয়েছেন কি না যেমন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, আইনি সংস্কার ঠিক করা।
তবে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে দুজনের মত ভিন্ন।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘ইউরোপের আটটি দেশ ইভিএম ব্যবহার করেছে, সেখান থেকে ছয়টা দেশ উঠে এসেছে। ওরা অন্যতম যেটা দেখেছে যে এখানে কারিগরি ত্রুটি হলে পুরো বিষয়টি বসে পড়ে।’
এ ব্যাপারে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘কারচুপি কিন্তু হচ্ছে। বেড়া পুরো ক্ষেত খেয়ে ফেলল ২০১৪ সালের পরে। সেখানে তো ইভিএম ছিল না। কারচুপি কেউ বন্ধ করতে পেরেছে?’
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর আস্থা ফেরাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের সংলাপ সহায়ক হবে বলেও মনে করেন তাঁরা।