ভাস্কর্য অপসারণ সুপ্রিম কোর্টের ব্যাপার : অ্যাটর্নি জেনারেল
ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে স্থাপিত ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের নিজস্ব বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম।
আজ শুক্রবার দুপুরে মাহবুবে আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়। তারা জানে। এটা কোথায় রাখবে, এটা তাদের ব্যাপার।’
এ ব্যাপারে নিজের কোনো মন্তব্য নেই বলেও জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়টি করা হয়েছে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্যই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভাস্কর্য সরানো হয়েছে।’
তবে এই ভাস্কর্য এখন কোথায় বসানো হবে বা তা দিয়ে আদৌ কী করা হবে, এসব বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের এই কর্মকর্তা।
সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘এসব ব্যাপারে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হয়ে অপসারণ কাজ শেষ হয় ভোরে। এ সময় ভাস্কর্য অপসারণের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ক্ষুব্ধ জনতা। এর মধ্যেই ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হতে পারে বলে দাবি করেছেন এর স্থপতি মৃণাল হক।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনে ‘গ্রিক দেবীর মূর্তি’ স্থাপন করা হয়েছে—এমন দাবি করে এর অপসারণের দাবি করে আসছিল হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মভিত্তিক নানা সংগঠন। এ বছরের রমজানের আগে ভাস্কর্য অপসারণের সময়সীমাও দিয়েছিল ওই সব সংগঠন।
হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, তাঁর ভাষায় গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে বাংলাদেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যে আঘাত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য সরানোর ব্যাপারে তাঁদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমন পরিপ্রেক্ষিতেই অপসারণ করা হয়েছে শিল্পী মৃণাল হকের গড়া ভাস্কর্যটি। অপসারণের খবর পেয়ে মধ্যরাতেই সুপ্রিম কোর্টের গেটের সামনে জড়ো হন প্রতিবাদকারীরা। এ সময় আদালতের দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা।