এনকাউন্টারে মারার ব্যবস্থাও করা হবে : শেখ সেলিম
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, ‘অতিসত্বর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গিদের ধরে ফেলা হবে এবং এনকাউন্টারে যাতে মারা যায়, সে ব্যবস্থাও করা হবে। ৭৮ জন মারা গেছে। ৭৮টা মামলা হবে, খালেদা জিয়ার বিচার হবে। এবং আইনে তার শাস্তি হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর চত্বরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ সেলিম এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন আখ্যা দিয়ে দলটিকে নিষিদ্ধ করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সরকারের হাতে সাংবাদিকদের একটি তালিকা আছে বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ দেখতে পারে না, জনগণ দেখতে পারে না। বোমা মারতেছে, আপনারা লাইভ টেলিভিশনে সেটা প্রচার করেন। কীভাবে? এই কাজ আপনারা বন্ধ করেন। আমাদের কাছে লিস্ট আছে, কারা এসব কাজ করেন। জনগণের স্বার্থে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবেন না। আপনাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
দ্রুত সন্ত্রাসীদের দমন করে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য আরো বলেন, ‘এনকাউন্টারে মারা গেলে বলে, মানবতাবিরোধী। ক্রসফায়ার, মানবতাবিরোধী। আরে ১৪ জন মানুষকে কোন মানবতার আইনে বাসে পেট্রলবোমা দিয়ে মারা হলো? সেইটা হলো মানবতা, না?... শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের দোয়ায় ইনশাআল্লাহ এই অপরাধীদের অতিসত্বর দমন করে বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, মানবতা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির শাসন কায়েম করবে।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘২০-দলীয় জোট কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটা জঙ্গি সংগঠন। অন্যান্য দেশে যেভাবে জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়, এই সংগঠনকেও সেভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এর নেত্রী ও সহযোগীদের বিচার করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে যারা সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন, তাঁদের সমালোচনা করে সেলিম বলেন, যারা টেবিল-টকের মাধ্যমে সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী বলে কথিত নাগরিক সমাজ, সুশীল সমাজ তারা... শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে একই পাল্লায় মাপে। আরে খালেদা জিয়া তো খুনি, ওর স্বামী খুনি, ও তো এ দেশের মানুষকে খুন করার জন্য পেট্রলবোমা মারছে, আর শেখ হাসিনা তো তাদের সেবা করছে। এক পাল্লায় হয়? এক পাল্লায় হয় না। শেখ হাসিনা কাঁদছে। পেট্রলবোমায় যারা আহত হইছে, খালেদা জিয়া তাদের দেখতে গেছে?’