রাজশাহী নগরীর মিয়াপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে যুবদলকর্মী জীবন শেখ নিহতের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)।

আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে র‍্যাবের রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের একটি দল মিয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

এঁরা হলেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার আশিকুর রহমান তুহিন (১৮) এবং হোসেনীগঞ্জ এলাকার ইসতিয়াক আহম্মেদ রনি (২৭)। তারা দুজনই ছাত্রলীগকর্মী।

র‍্যাব ৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কামারুজ্জামান পাভেল সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ মামলার প্রধান আসামি আশিকুর রহমান তুহিনকে একটি টাইলসের দোকান থেকে এবং ইসতিয়াক আহম্মেদ রনিকে একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁদের বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করা হবে।

কিছুদিন আগে ফেসবুকে রাজশাহী সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল আরেফিন রবিনকে ‘ইডিয়ট ও রাসকেল’ মন্তব্য করে একটি পোস্ট দেন মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী ও আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান কালুর ছেলে আশিকুর রহমান তুহিন। এর জের ধরে ২৮ মে রাত ১১টার দিকে রবিন দলবল নিয়ে তুহিনকে মারতে গেলে দুই পক্ষের গুলিতে যুবদলকর্মী জীবন শেখ নিহত হন। রবিন ও জীবন বন্ধু ছিলেন।

এ ঘটনায় ৩০ মে দুপুরে নিহত জীবন শেখের বড় বোন মোসা. শম্পা বাদী হয়ে মহানগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আশিকুর রহমান তুহিন (১৮) ও রেদওয়ানুল রহমান তুষার (২৪), মিয়াপাড়া এলাকার সুর্য মিয়ার ছেলে পাপ্পু (৪৩) এবং হোসেনীগঞ্জ এলাকার কালামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রনি (২৭)।