১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৬ জুলাই
হলমার্কের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারির ১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ২৬ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল ইসলাম মোল্লার আদালতে ১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু আসামিপক্ষে নিয়োজিত কৌঁসুলি অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন নির্ধারণ করেন।
এ মামলায় হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মীর মহিদুর রহমান, দুই উপমহাব্যবস্থাপক শেখ আলতাফ হোসেন ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ কারাগারে আটক আছেন।
অন্যদিকে জামিনে আছেন তানভীরের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আতিকুর রহমান। এ ছাড়া কারাগারে মারা গেছেন সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান।
মামলার অপর ১৭ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁরা হলেন হলমার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আব্দুল বাছির, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।
এদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীসহ দুদকের ছয় কর্মকর্তা ১১টি মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে হলমার্কের সাতজন ও সোনালী ব্যাংকের ২০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
১১টি মামলার মধ্যে শিবলী একটি মামলার বাদী। এ ছাড়া দুদকের উপপরিচালক আক্তার হামিদ, সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান, মশিউর রহমান, নাজমুস সাদাত ও উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদীন দুটি করে মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫-এর (২) ধারায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০ এ ১১৯ ধারায় মামলাগুলো করা হয়।