প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই : সেতুমন্ত্রী
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে কারো এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে সরকার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অনঢ় অবস্থানে থাকবে। তিনি বলেছেন, ‘কাজেই এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের ভুলতা এলাকায় ফ্লাইওভারের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাজেটটি এখনো প্রস্তাবের মধ্যে আছে। এ বাজেট নিয়ে এক মাস ধরে আলোচনা হবে। সমালোচনা হবে। এমনকি আমাদের পার্টির এমপিরাও কিন্তু সমালোচনা করে।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই কিন্তু সমালোচনা নিয়ে আসবে। প্রত্যেকেই বিকল্প সাজেশন দেবে। যেখানে যেখানে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হবে বলে সংসদ সদস্যরা মনে করেন, তাঁরা এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবেন, গঠনমূলক সমালোচনা করবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে কারো এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই যে সরকার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অনঢ় অবস্থানে থাকবে। জনস্বার্থে যদি কোনো সংশোধন করতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে আলোচনার প্রেক্ষিতে এবং অন্যদের সমালোচনার প্রেক্ষিতে অবশ্যই জনস্বার্থে কিছু কিছু বিষয় বিবেচনায় আনবেন। সে ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।’
নির্বাচনের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সহায়ক সরকারের কোনো বিধান আমাদের সংবিধানে নেই। পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সহায়ক সরকারের কোনো বিধান নেই। নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনই হচ্ছে মূল বিষয়। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। তখন অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো শেখ হাসিনার সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে। সরকারের নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে হাত থাকবে না।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত থাকবে। কাজেই বিএনপির এখানে অহেতুক ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা নির্বাচনে আসবে। কারণ নির্বাচনে আসার বিকল্পও নেই। নির্বাচনে না এসে নিজেদের অস্তিত্বকে ঝুঁকির মুখে তারা আবার ঠেলে দেবে এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। আর দুর্বার আন্দোলন গত আট বছরে অনেক ঘোষণা শুনেছি। ঘরে বসে বসে প্রেস ব্রিফিং আর ফটোসেশন করে তারা আট বছরে অন্তত চল্লিশবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সেই আন্দোলন হয়নি। কারণ আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’