মওদুদের ‘বাসা’র সামনে খালেদা জিয়া
রাজধানীর গুলশানে যে বাসা থেকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ উচ্ছেদ হয়েছেন, তার সামনে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি কয়েক মিনিট অবস্থান করেন।
আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়িটির সামনে যান খালেদা জিয়া। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. সালাহউদ্দিন মিয়া বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদের ব্যক্তিগত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন জানান, বাড়ির সামনে ১০ মিনিট অবস্থান করেন খালেদা জিয়া। সেখানে তখনো ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ। খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ নেতাকর্মীরা।
এসময় মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক উপরাষ্ট্রপতি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী এবং যিনি বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত বয়স্ক, বরেণ্য আইনজীবী। তাঁকে যদি এভাবে হয়রানি করা হয়, সাধারণ মানুষ আজকে কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে আপনারা নিশ্চিয়ই বুঝতেই পারছেন। নিশ্চয়ই এর আইনগত যে ব্যবস্থা আছে সেটা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রচণ্ড রকমের নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা প্রতিবাদ করছি এবং আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনাগুলো রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী এদিন বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিপন্থী প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাবের ইফতারে অংশ নেন। এখানে তিনি বলেন, অন্যায় আচরণ করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যারা বিভিন্ন বাড়ি দখল করে আছে তাদেরও জনগণ একসময় উচ্ছেদ করবে।
আজ দুপুরে গুলশান এভিনিউর ১৫৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওই বাড়িতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অভিযান শুরু করে। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউর রহমান নেতৃত্ব দেন। রাজউকের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য অভিযানে অংশ নেন। বাড়িটির পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে, বাড়িতে অভিযানের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, রিভিউ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর বাড়ি অধিগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে তিনি ঢাকার প্রথম জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করেছেন।
মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার কী করার আছে? কী করব? আমাদের মতো মানুষদের পেশিশক্তির বিরুদ্ধে কী করার আছে?’ তিনি বলেন, এটা প্রতিহিংসার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত। আদালত তো বলেননি এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদের কথা। রাজউকও উচ্ছেদের নোটিশ দেয়নি। বিরোধী দলের রাজনীতি করি বলেই বাসা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সরকারি দলের নেতা হলে তো এমন হতো না।’
এর আগে গত ৪ জুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের গুলশানের বাড়ির মালিকানা বিষয়ে করা রিভিউ খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।