পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ১৩২ জন
টানা বর্ষণে পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল চলছে। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লাশের সংখ্যা। তিন জেলায় এখন পর্যন্ত ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাহাড় ধসে আজ মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ১২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে রাঙামাটিতে চার সেনা সদস্যসহ ৯৬ জন, চট্টগ্রামে ২১ জন ও বান্দরবানে ছয়জন রয়েছে।
এ ছাড়া পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাঁচজন ও রাউজান উপজেলায় একজন এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় একজন মারা গেছেন। এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের হালিশহর এলাকায় ঝড়ের সময় দেয়াল চাপা পড়ে একজন এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় গাছচাপা পড়ে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার ভোররাত থেকে অভিযান চালিয়ে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযান এখনো চলছে। এসব ঘটনায় আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
বঙ্গোপসাগরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার রাত থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে সারা দেশে। সোমবার এটি বাংলাদেশের উপকূল ও স্থলভাগ অতিক্রম করে। এর প্রভাবে বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়ে। টানা বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে গ্রাম-শহরে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। অনেক স্থানে বন্ধ করে দেওয়া হয় নৌযান চলাচল।
আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
ফজলে এলাহী, রাঙামাটি: টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটিতে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যসহ ৯৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটি শহরে চার সেনা সদস্যসহ ৫৩ জন, কাউখালী উপজেলায় ২৩ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৬ জন, জুড়াছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন করে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে একজন ও গাছচাপায় একজন নিহত হয়েছে।
প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পুরো জেলায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। ১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে আটশর বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার ১৫ লাখ টাকা ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাসস্থানের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সরকার তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবে।
মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসত নির্মাণ, পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ নষ্টের কারণে এত বড় দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কিছু লাশ উদ্ধার করে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাশের সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
শহরে নিহতদের মধ্যে আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁরা হলেন—রুমা আক্তার, নুড়িয়া আক্তার, হাজেরা বেগম, সোনালী চাকমা, অমিত চাকমা, আইয়ুস মল্লিক, লিটন মল্লিক ও চুমকি দাস। তাঁরা শহরের যুব উন্নয়ন ও ভেদভেদি এলাকায় বসবাস করতেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাঈদ তরিকুল হাসান মানিকছড়ির ঘটনাস্থলে থাকা উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে জানান, প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকালে সেই মাটি সরাতে কাজ করছিলেন সেনাসদস্যরা। তখন ওপর থেকে পাহাড় ধসে সেনাসদস্যদের ওপর পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত সেনা সদস্যরা হলেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মেজর মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ক্যাপ্টেন মো. তানভীর সালাম শান্ত, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার করপোরাল মোহাম্মদ আজিজুল হক ও বগুড়ার আদমদীঘির সৈনিক মো. শাহিন আলম।
সেনা সদস্য হতাহত হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ ভোরে রাঙামাটির মানিকছড়িতে একটি পাহাড় ধসে মাটি ও গাছ পড়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি জোন সদরের নির্দেশে মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ওই সড়কে যায় চলাচল স্বাভাবিক করতে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। উদ্ধার কার্যক্রম চলার সময় আনুমানিক বেলা ১১টায় উদ্ধার কার্যস্থল সংলগ্ন পাহাড়ের একটি বড় অংশ উদ্ধারকারীদলের ওপর ধসে পড়লে তাঁরা মূল সড়ক থেকে ৩০ ফুট নিচে পড়ে যান। পরে একই ক্যাম্প থেকে আরো একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজন সেনা কর্মকর্তাসহ চারজন সেনাসদস্যকে নিহত এবং ১০ জন সেনাসদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর সময় ভূমিধসে পতিত সেনাসদস্য সৈনিক মো. আজিজুর রহমান এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক আজ বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তিনি হতাহত সব সেনাসদস্য ও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।
পাহাড় ধসে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২৩ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কাউখালীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কমল বরণ সাহা। তবে নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তাঁরা।
কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে ইকবাল ও গাছচাপা পড়ে আবুল হোসেন নামের দুজন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিলাইছড়ি ও জুড়াছড়ি উপজেলায় পাহাড় ধসে দুজন নিহত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
মৃত্যুর মিছিল প্রসঙ্গে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ রশীদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এটা একটা ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। মৃতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে। শহরের যুব উন্নয়ন, ভেদভেদি, শিমুলতলি, রাঙাপানিসহ অনেক স্থানেই এখনো মানুষ মাটি চাপা পড়ে আছে।’
এদিকে, রাঙামাটি শহরের বেশির ভাগ এলাকাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে বাড়তি ইউনিট কাজে যোগ দিতে আসছে।
শামসুল হক হায়দরী ও আরিচ আহমেদ শাহ, চট্টগ্রাম : টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলায় পাহাড় ধসে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ার জঙ্গল বগাবিল এলাকায় ১৬ জন, চন্দনাইশের ধোপাছড়ি এলাকায় চারজন ও বাঁশখালীতে একজন নিহত হয়েছে। রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে মারা গেছে ছয়জন।
এ ছাড়া আজ ভোরে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকায় ঝড়ের সময় দেয়াল চাপা পড়ে হানিফ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়ার ঘটনাস্থল দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায়, পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ ও সাঙ্গু নদীর পানি বাড়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলের কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটি ও বান্দরবানের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী আসগর আলীর কাঁচা ঘরের ওপর মাটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় আজগর আলীর শিশুকন্যা মাহিয়া মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এ ছাড়া ছনবুনিয়া উপজাতিপাড়ায় একটি ঘরের ওপর পাহাড় ধসে একই পরিবারের দুই শিশু কেউচা কেয়াং (১০), মেমাউ কেয়াং (১৩) এবং গৃহবধূ মোকাইং কেয়াং (৫০) নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই পরিবারের সানুউ কেয়াং (২১) ও বেলাউ কেয়াং (২৮) নামের আরো দুজন আহত হয়েছেন। তাঁদের বান্দরবান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ চৌধুরী।
জেলা প্রশাসনের হিসাবে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের সংখ্যা ৩০টি। আর এতে বসবাস করছে অন্তত চার হাজার পরিবার। বৃষ্টি মৌসুমে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চললেও দীর্ঘদিনেও স্থায়ী সমাধান বের করতে পারেনি প্রশাসন। তবে টানা বৃষ্টি আর বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের পর আজ নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোর পাদদেশ থেকে শতাধিক পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে অতিবর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে তিনদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছে নগরীর আগ্রাবাদ, বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার বেশির ভাগ মানুষ।
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম শহরের একেক স্থানের জলাবদ্ধতার কারণ একেকটি। প্রত্যেকটির কারণ নির্ণয় করে তা অপসারণের কাজ করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের যেকোনো মূল্যে সরাতে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান : টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে বান্দরবানে শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১১ জন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে বান্দরবানের লেমুঝিরি ভিতরপাড়া থেকে একই পরিবারের তিন শিশু, আগাপাড়ায় মা-মেয়ের এবং কালাঘাটায় এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী স্টেশন অফিসার স্বপন কুমার ঘোষ।
নিহতরা হলো লেমুঝিরির বাসিন্দা সমুন বড়ুয়ার তিন সন্তান শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৪), আগাপাড়ার কামরুন নাহার (২৭) ও তাঁর মেয়ে সুখিয়া আক্তার (৮) এবং কালাঘাটার কলেজছাত্র রেবা ত্রিপুরা (১৮)।
এ সময় আহত আরো পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।
এদিকে, অব্যাহত বর্ষণে ভোররাতে বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার থেকে বান্দরবানে টানা ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বর্ষণে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া, রাঙামাটি সড়কের পুলপাড়া বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, পাহাড় ধসে রুমা উপজেলার সঙ্গেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে দুদিন ধরে। অবিরাম বর্ষণে বান্দরবানে কয়েক সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। দুর্গত এলাকার মানুষ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।