খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে নিহত ২, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম বর্মাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় ধসে দুজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ির হেঁয়াকো এলাকায় রাস্তা ভেঙে বড় নালা সৃষ্টি হওয়ায় খাগড়াছড়ি-ফেনী-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে পাহাড় ধসে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ফত্যাছড়াপাড়ার পরিমল চাকমা (৩০) ও লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সীমান্তবর্তী হলুদ্যা পাড়ার বড়ইতলী এলাকার পতুল্যা চাকমার স্ত্রী কালেন্দ্রী চাকমা (৪৫) মাটির নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়।
এ ঘটনায় পতুল্যা চাকমা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সাতজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ ইকবাল, পরিমাল চাকমার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন। আর কালেন্দ্রী চাকমা নিহতের বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
তবে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ ইকবাল জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় তিনি দুজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ঘটনাস্থল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
খাগড়াছড়ি-ফেনী-ঢাকা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি-ফেনী সড়কের ফটিকছড়ির হেঁয়াকো এলাকায় রাস্তা ভেঙে বড় নালা সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের পর আকস্মিকভাবে রাস্তা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন চলাচল করলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম শফি জানান, চট্টগ্রাম হয়ে বিকল্প পথে খাগড়াছড়ি-ঢাকার বাসগুলো চালু রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার জানান, যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।