পাঁচ জেলায় নিহত ১৪৭
টানা বর্ষণে পাহাড়ধস ও পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। এ ছাড়া বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারেও হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রকৃতির নিষ্ঠুর নির্মমতায়।
অতিবৃষ্টিতে পাহাড়ধস, পাহাড়ি ঢল, গাছপালা ভেঙে পড়ে পাঁচ জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১৪৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে কেবল রাঙামাটিতেই প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ কেড়ে নিয়েছে ১০১ প্রাণ। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৩৬, বান্দরবানে ৬, খাগড়াছড়িতে ২ ও কক্সবাজারের ২ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
বিপর্যস্ত রাঙামাটিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালেও চলছে উদ্ধারকাজ। গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৬০ সদস্যের একটি উদ্ধারকর্মীর দল রাঙামাটিতে পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার উদ্ধার অভিযান শেষ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরে চার সেনাসদস্যসহ ৫৩ জন, কাউখালী উপজেলায় ২৩ জন, কাপ্তাই উপজেলায় ১৬ জন, জুড়াছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় দুজন করে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাপ্তাইয়ে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে একজন ও গাছচাপায় একজন নিহত হয়েছেন। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পুরো জেলায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, চন্দনাইশসহ কয়েকটি উপজেলায় প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধস ও ঢলে নিহত ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর বান্দরবানে নিহত হয়েছেন শিশুসহ ছয়জন।
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম বর্মাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় ধসে দুজন, কক্সবাজারের টেকনাফে রাতে ঘুমন্ত বাবা-মেয়ের ওপর পাহাড় ধসে পড়লে তাঁরা দুজন নিহত হন।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার থেকে বান্দরবানে টানা ভারি বর্ষণে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া, রাঙামাটি সড়কের পুলপাড়া বেইলি ব্রিজ তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে বান্দরবানে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল চালু হয়েছে। তবে পাহাড় ধসের কারণে গতকালও বন্ধ ছিল রুমা-বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ।