রিজভী একজন প্যাথলজিক্যাল লায়ার : কাদের
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে ‘প্যাথলজিক্যাল লায়ার’ বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট পরিস্থিতি ও রাস্তা সংস্কারকাজ পরিদর্শন এবং হাইওয়ে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রুহুল কবির রিজভী প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওর কাজই হচ্ছে ওখানে (নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়) বসে বসে মিথ্যাচার করা। ওই জন্যই ওকে ওখানে নিয়োজিত করা হয়েছে। হি ইজ আ প্যাথলজিক্যাল লায়ার (তিনি একজন স্বভাবজাত মিথ্যাবাদী)।’
আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঈদ যাত্রাকে আমরা স্বস্তিদায়ক করার জন্য যে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি, খুব বেশি ডিজাস্টার (দুর্যোগ) না হলে আমি আশা করি, আমরা মানুষকে, ঘরমুখো জনগণকে স্বস্তি দিতে পারব। অন্তত যাত্রাটা স্বস্তিদায়ক করতে পারব। জনদুর্ভোগটা রাস্তায় সহনীয় মাত্রায় রাখতে পারব। সে রকম প্রিপারেশন (প্রস্তুতি) আমরা নিয়েছি এবং প্রিপারেশন নিয়েই আমি কথা বলছি।’
কাদের বলেন, ‘সবাইকে আমি ধৈর্য ধারণের জন্য আহ্বান জানাব। উল্টোপথে গাড়ি যাতে কেউ না চালায়, সে ব্যাপারে আমি মালিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দের কাছে আবারো অনুরোধ করব। প্লিজ উল্টোপথে যাতে গাড়ি চলাচল না করে সে ব্যাপারে আপনারা সজাগ থাকবেন। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রঙ লাগিয়ে, ফিটনেসবিহীন অনেক গাড়ি বেড়িয়েছে। এই গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে, এই সব গাড়ি রাস্তায় আটক হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে যায়, বৃষ্টি হলে হঠাৎ করে থেমে যায়।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্তের দাগ বেগম জিয়া এবং তাঁর নেতাদের হাতে আছে। সে রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। কে গুপ্তহত্যা বাংলাদেশে শুরু করেছিল? আমাদের অনেক নেতাকর্মী, আজ পর্যন্ত ফ্যামিলির লোকজন তাঁদের খুঁজে বেড়ায়। তাঁদের ছেলেসন্তানকে খুঁজে বেড়ায়। খুঁজে পায় না। রক্তে রক্তে বাংলাদেশ রক্তনদী হয়ে গেছে বিএনপির আমলে। খুনে খুনে খুনের দরিয়া হয়ে গেছে বাংলাদেশ। তাঁরা আবার গুম-খুনের কথা বলে? তাঁদের মুখে এটা শোভা পায় না। তাঁদের মুখে এটা হাস্যকর।’
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, হাইওয়ে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আতিকুল আলম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সওজের দুই নির্বাহী প্রকৌশলীকে শোকজ
কর্তব্যে অবহেলার কারণে গাজীপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ডি এ কে এন নাহিন রেজা ও মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল হককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।