‘ড্রাগনের পেটে চিল্লায় ভূতে’
পরিবেশটা এমন- হেঁটে উপরে উঠলে মনে হবে এটা একটা টিলা। আবার নিচে বামপাশের দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে মনে হবে একটা মস্ত গুহা। এর ভেতর গুমট অন্ধকার। ভেতরে একটা মিনি ট্রেন কিছুক্ষণ পর থেমে থেমে চলে। ৪০ টাকার টিকেট নিলে একজন ট্রেনে উঠিয়ে দেয়। তারপর ট্রেন চলে যাবে ড্রাগনের পেটের ভেতর। আর তখনই শোনা যাবে ভূতের বীভৎস চিৎকার।
আপনি হয়তো ভাবছেন, এটা রূপকথার গল্প। কিন্তু না, এটা বাস্তবেই ঘটছে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত।
রহস্য না করে বলা যায় এটি মূলত একটি থিম। এই থিম নিয়ে একটি রাইড তৈরি করা হয়েছে শ্যামলীর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডে (সাবেক শিশু মেলা)। শিশুদের এই রাইডে দিয়ে অভিভাবকরা চিন্তিত থাকলেও শিশুরা বেশ উপভোগ করেই ফিরে আসে।
রাইড চড়া শেষে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রাফি মাকে তার অভিব্যক্তি জানায়। সে বলে, ‘মা ভেতরে ভয়ঙ্কর! অনেক ভূত চিৎকার দেয়। তুমি কক্ষনো যেও না। গেলে ভয় পাবা। আমি কিন্তু ভূত ডরাই না। স্যার বলেছে, ভূত খালি চিৎকার দিতে পারে- কিছু করতে পারে না।’
মিরপুর থেকে আসা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইভান বলে, ‘এক বন্ধুর কাছে শুনে আমি এটাতে চড়ার জন্যই এসেছি। আম্মা প্রথমে দিতে চায়নি। পরে আমি অনেক বলে রাজি করিয়েছি। ভূতেরা যখন চিৎকার দেয় তখন আমরাও চিৎকার দিয়েছি। দারুণ মজা করেছি।’
ইভানের মা ছেলের এই রাইড চড়া নিয়ে খুশী হলেও একেবারে নিশঙ্ক নন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বাচ্চারা এ রকম একটা পরিবেশ থেকে দারুণ একটা বিষয় শিখে আসে বটে কিন্তু যদি ভয় পায় তবে মুশকিল না? সত্যি বলতে কী, থিমটা আমারও দারুণ লেগেছে।’
শ্যামলীর ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডে আছে ৪০টির মতো রাইড। পরিবারের সবার চড়ার মতো আছে ১৫টি রাইড। কিন্তু মিনি ট্রেনের পাশেই বেশি ভিড় দেখা যায়।
পার্কটি ঈদের প্রথম সাতদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।