নওগাঁয় সেপটিক ট্যাংকে বিষক্রিয়ায় নিহত ৪
নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের তয়েজ উদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে বিষক্রিয়ায় কলেজছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তাঁদের মধ্যে নিহত কলেজছাত্র ইমতিয়াজ আলম (২৪) বাড়ির মালিক তয়েজ উদ্দিনের ছেলে।
নিহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন একই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রতন মিস্ত্রী (৩৫), গোয়ালী গ্রামের মিস্ত্রী বাবু সরদার (৩৬) ও দেলবর আলী (৪৫)।
শিকারপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল্লা বাবু এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জানান, সকালে তয়েজ উদ্দিনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে ট্যাংকের ভেতরে নামেন রতন মিস্ত্রী। এর পরে বাড়ির মালিকের ছেলে ইমতিয়াজ ট্যাংকের ভেতরে নামেন। বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেলেও ভেতরে নামা দুজনের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অপর মিস্ত্রী বাবু সরদার ও প্রতিবেশী দেলবর আলী সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে উঁকি দিয়ে ভেতরে থাকা দুজনকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁরা ভেতরে থাকা রতন ও ইমতিয়াজকে উদ্ধার করতে নেমে নিজেরাও বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হন।
খবর পেয়ে এলাকাবাসী সেপটিক ট্যাংকের ছাদ ভেঙে অচেতন অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমতিয়াজ, রতন মিস্ত্রী ও বাবু সরদারকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে দেলবর আলীকে হাসপাতালে আনার পথেই মারা যান তিনি।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, তিনজনের মৃতদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে দেলবর আলীকে হাসপাতালে আনার পথে মারা যাওয়ায় তাঁর মৃতদেহ গোয়ালী গ্রামে নিয়ে গেছেন এলাকাবাসী।
ঘটনার পর নওগাঁ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কানাই লাল সরকার, সদর মডেল থানার ওসি মো. জাকিরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।