হলি আর্টিজানে হামলা : তদন্ত প্রতিবেদনই দাখিল হয়নি
রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার বর্ষপূর্তি হয়েছে আজ শনিবার। অথচ দীর্ঘ এই সময়েও জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত আদালতে দাখিল করা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, আগামী ১৬ জুলাই এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, মামলাটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম, জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান ও বড় মিজানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।
সেদিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। নিহত জঙ্গিরা হলো নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ। একই ঘটনায় রেস্তোরাঁর বাবুর্চি সাইফুল ইসলাম চৌকিদারও নিহত হন।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।
এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
মামলার পর কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে হাসনাতের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে গুলশানের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
অপরদিকে তাহমিদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করার অপরাধে আরেকটি মামলা করে পুলিশ। সে মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান তাঁকে খালাসের আদেশ দেন।