শিক্ষার মান কমেনি, অনেক উন্নতি হয়েছে : শিক্ষামন্ত্রী
আগের চেয়ে শিক্ষার মানের অনেক উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষার্থীদের মানও অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি।
আজ শনিবার ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রদের ওরিয়েন্টেশন ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আজ সারা দেশে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস শুরু উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির ক্লাস উদ্বোধন করেন তিনি। সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষার মান কমে নাই। শিক্ষায় অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েদের মান অনেক উন্নত হয়েছে। ইউনেসকোসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে শিক্ষার উন্নয়নে বাংলাদেশ রোলমডেল।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। জাতির প্রত্যাশা পূরণে তাদের অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
ঢাকা কলেজকে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। আজকের নবীন ছাত্রদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়ে জাতির সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। নিজেদের দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি উন্নত করার ওপর জোর দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ জন্য শিক্ষকদের চর্চা আরো বাড়াতে হবে। ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে, পড়াশোনা করে এসে ক্লাস নিতে হবে। নতুন প্রজন্ম বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। তাদের বিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।
গত কয়েক ধরে বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ঢাকা কলেজে এবার এক হাজারের স্থলে এক হাজার ৩০০ ছাত্র ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত ৩০০ ছাত্র বিজ্ঞান শাখায় নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জম হোসেন মোল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহাবুবুর রহমান, ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও অধ্যাপক সৈয়দা হাবিবা।