চিকুনগুনিয়ার প্রভাব আদালতেও
ঢাকার নিম্ন আদালতেও চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রভাব দেখা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার একাধিক নিম্ন আদালতে আইনজীবীরা এ জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন বলে সময়ের আবেদন করেছেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সে আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। এ ছাড়া আদালতের একাধিক আইনজীবী এ চিকুনগুনিয়া জ্বরের কারণে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা পরিচালনা করতে পারছেন না।
আইনজীবী রুবেল হাওলাদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত ২২ জুন থেকে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। ঈদের পরে আদালতে একদিনও আসতে পারিনি। আদালতে অনেক কাজ থাকলেও আসতে পারছি না। পায়ের গোড়া ফুলে খুব ব্যথা অনুভব করছি।’
আরেক আইনজীবী আশরাফ-উল-আলম বলেন, ‘চিকনগুনিয়া জ্বরে ১৫ দিন বিছানায় ছিলাম। জ্বরের কারণে আদালতে হাজির হতে পারি নাই। অনেক বিচারপ্রার্থীর সমস্যা হয়েছে। এখন এ রোগ অনেকাংশে সবারই হচ্ছে।’
ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের পেশকার পারভেজ জানান, আদালতে বেশির ভাগ মামলায় আইনজীবীরা চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে সময়ের আবেদন করছেন।
বিচারকরাও সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় মঞ্জুর করছেন। এখন এ রোগের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি মনে হচ্ছে।
চিকুনগুনিয়া রোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক আবুল হাসনাত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, চিকুনগুনিয়া হলো মশাবাহিত ভাইরাসজনিত জ্বর। মূলত এডিস মশার কামড় থেকেই এ রোগ হয়। তিনি জানান, এ রোগ হলে শরীরে জয়েন্টে ব্যথা থাকবে, উচ্চমাত্রায় জ্বর আসবে, শরীরে লাল লাল দানা দেখা দেবে।
চিকিৎসক জানান, এডিস মশা মূলত দুপুর ও সকালে কামড়ায়। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং ঘর-বাড়ি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে এ রোগ থেকে বাঁচা যাবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।