ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু
ঈদ সামনে রেখে শুরু হয়েছে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেওয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকেট। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (১০ জুলাই) বিক্রি করা হবে ১৪ জুলাইয়ের টিকেট। পর্যায়ক্রমে পাঁচ দিন ট্রেনের আগাম এই টিকেট বিক্রি করা হবে।
urgentPhoto
এর মধ্যে ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের টিকেট, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের টিকেট এবং সর্বশেষ ১৩ জুলাই বিক্রি হবে ১৭ জুলাইয়ের টিকেট।
প্রথম দিনেই ট্রেনের আগাম টিকেট পেতে অনেকে গতকাল ইফতার করেই চলে এসেছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। সারা রাত অপেক্ষার পর আজ সকাল ৯টা থেকে টিকেট পেতে শুরু করেছেন যাত্রীরা। তবে টিকেট কাউন্টারের সংখ্যা আরো বাড়ানো হলে ভোগান্তি কমত বলে মনে করছেন নারী যাত্রীরা।
এদিকে, ঈদের এ সময়টাতে প্রতিদিনই প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করবেন বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আর এ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতও তারা। সে সঙ্গে টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে অন্যবারের মতো এবারও থাকবে কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারি।
এদিকে প্ল্যাটফর্মে তো যাত্রীদের লাম্বা লাইন আছেই, সেই ভিড় ছাপিয়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ এসে লাগে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজারের রুমেও। কোটা, তদবির, অনুরোধ-আবদার মেটাতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয় স্টেশন ম্যানেজারকে। তবে তিনি জানান, সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে, সেটিই তাঁদের অগ্রাধিকার।
স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার সম্পদ আছে সীমিত, আমি তো সবাইকে দিতে পারব না। আমি কি ১০ লাখ লোক পাস করতে পারব? আমি ৪৭-৪৮ হাজার টিকেট দিতে পারছি, আমি তো আর সবাইকে দিতে পারব না। এর মধ্যে যারা পায়, তারা তো খুশি আর যারা না পায়, তারা তো অনেক কিছু বলে।’
টিকেট কালোবাজারি প্রসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ‘কালোবাজারির তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যে কারণে আমরা সবাই এ কালোবাজারি ও অনিয়ম বন্ধের জন্য সর্বপ্রকার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিচ্ছি।’
অন্যদিকে বাস কাউন্টারগুলোতে দেখা যায় মিশ্র চিত্র। উত্তরবঙ্গগামীদের বাসের টিকেট পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হলেও এ বিষয়ে তেমন সমস্যা হচ্ছে না দক্ষিণের যাত্রীদের। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট রুটের যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে তেমন ভোগান্তি পোহাতে হবে না বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভোগান্তি এড়াতে আগেভাগেই মানুষ যেভাবে বাড়ি ফিরছেন, তাতে ঈদের আগে যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপ থাকবে না বলে মনে করছেন বাস সংশ্লিষ্টরা।