ভালোমন্দ বিষয়ে আলাপ সাংসদদের স্বাধীনতা : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের ভালোমন্দ সব বিষয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা করার স্বাধীনতা সাংসদদের রয়েছে। তাই ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আলোচনায় আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ লোক ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) ভূমি রেজিস্টার কর্মকর্তাদের দুই মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন সংসদে দেশের ভালোমন্দ, দেশের সব সমস্যা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার স্বাধীনতা সংসদ সদস্যদের আছে। আর রুল অব প্রসিডিউর যদি পড়া হয়, তাহলে কিন্তু দেখা যাবে যে, সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ এবং অধিকার তাদের আছে। তো সেই অনুপাতে তাঁরা আলাপ-আলোচনা করেছেন এবং সেটা সুষ্ঠুই করেছেন।’
এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের ব্যাপারে আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে বুনিয়াদী প্রশিক্ষণে বক্তব্য দেন আনিসুল হক। এ সময় তিনি ভূমি রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের ভূমি রেজিস্টার অফিসগুলোকে পরিদপ্তর থেকে অধিদপ্তরের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে আরো উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ সরকার নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের ৩০ জন ভূমি রেজিস্টার কর্মকর্তার মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
গত ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এর মধ্য দিয়ে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকছে না; বরং তা আগের মতোই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ন্যস্ত থাকবে।
২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ-মেয়াদ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করা হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী নামে পরিচিতি। সংশোধিত গেজেটে বলা হয়, ‘প্রমাণিত অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে সংসদের মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোনো বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।’