সুন্দরবন না থাকলে গোপালগঞ্জও থাকবে না : বনমন্ত্রী
বাংলাদেশের মতো গোটা পৃথিবীতেই বাঘের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তবে দেশে বাঘের আবাসস্থল বেড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার সকালে বাগেরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বনমন্ত্রী। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে একটি র্যালি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশেই বাঘের সংখ্যা কমছে না, সমস্ত পৃথিবীতে বাঘের সংখ্যা কমছে। তবে হতাশ হওয়ার কিছুই নেই, বাংলাদেশে বাঘের আবাসস্থল বেড়েছে। সুন্দরবন না থাকলে বাগেরহাট ও খুলনাই নয়, গোপালগঞ্জও থাকবে না। বাঘ রক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক।’
বনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বন নিয়ে যাঁরা চেঁচামেচি করেন, তাঁদেরকে আহ্বান জানাই, হেলিকপ্টারে সুন্দরবন ভ্রমণ করে দেখার জন্য আসলে গাছ কমেছে কি না।’
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর শওকাত আলী বাদশা, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াত আহমদ, বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির।
এনটিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ রক্ষা করব’ এ প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরায় বিশ্ব বাঘ দিবস পালিত হয়েছে। আজ সকালে শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি স্থানীয় সুন্দরবন বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ওয়াইল্ড টিমের সদস্য ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জি এম সালাউদ্দীন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মাকসুদ আলম, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার, মুন্সীগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল ও ওয়াইল্ড টিমের প্রোগ্রাম অফিসার জাফর আহমেদ।