সিদ্দিকুরের চোখে ‘আলো ফেরার আশা নেই’
পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে আহত সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখে আলো ফেরার আশা নেই বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার সিদ্দিকুরের চোখ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক লিংগম গোপাল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, দুই চোখের কোনোটি দিয়েই আর দেখার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এমনকি অস্ত্রোপচারেও চোখ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র এক শতাংশ।
ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে চিকিৎসা চলছে সিদ্দিকের।
চেন্নাইয়ে অবস্থানরত সিদ্দিক ও তাঁর ভাই নায়েব আলীর সঙ্গে কথা বলে এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিদ্দিকুর রহমানের সহপাঠী শেখ ফরিদ। সিদ্দিক নিজেই টেলিফোনে শেখ ফরিদকে জানান, চিকিৎসক বলেছেন যে তাঁর চোখের আর কোনো আশা নেই। চোখ ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র এক শতাংশ। এই এক শতাংশের জন্য অস্ত্রোপচার করাবেন কি না সেই সিদ্ধান্তের ভার চিকিৎসকরা সিদ্দিকের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।
ভাইয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেল বলে টেলিফোনে সিদ্দিকের বড় ভাই নায়েব আলী অনেক কান্নাকাটি করেছেন বলে জানান শেখ ফরিদ। তিনি বলেছেন, এখনো যেহেতু এক ভাগ আশা আছে সেহেতু অস্ত্রোপচার করে দেখতে চান তারা। সর্বশেষ কী হয় তা জানার পর দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিদ্দিকের সঙ্গে আছেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল আহসান।
এর আগে, গত ২৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা হন সিদ্দিকুর। শাহবাগে রুটিনসহ পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন সিদ্দিকুর। সেই সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলে রাজপথে পড়ে যান সিদ্দিকুর। তাঁর চোখ দিকে রক্ত ঝরছিল।
সহপাঠী ও স্বজনদের ভাষ্য, পুলিশের টিয়ার শেল বিদ্ধ হয় সিদ্দিকের চোখে।
আহত অবস্থায় সিদ্দিককে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালটিতে এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তাঁকে ভারতে পাঠানো হয়।