জেলে ছয় মাসে ওজন ১২ কেজি কমেছে : ফখরুল
প্রায় সাড়ে ছয় মাস কারাভোগে ১২ কেজি ওজন কমেছে বলে জানালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত অসুস্থ। গত ছয় মাসে আমার প্রায় ১২ কেজি ওজন কমেছে। আমার অ্যার্টারির ব্লকের সমস্যা আরো বেড়ে গেছে। আমার আইবিএসের সমস্যা বেড়েছে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মুক্তি পান বিএনপির এই নেতা।
সাংবাদিক ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, কিছুদিনের জন্য হলেও আমি মুক্ত হয়েছি। আমি খুব তাড়াতাড়ি বাইরে যাব চিকিৎসার জন্য। আপনাদের মাধ্যমে সমস্ত দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া চাইছি। আমি যেন আরোগ্য লাভ করে ফিরে এসে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছি। আমার স্ত্রী যোগোযোগ করেছেন। তিনি প্রথমে সিঙ্গাপুরে যোগাযোগ করেছেন যেখানে আগে আমি চিকিৎসা করেছি। এরপর আমেরিকায় যোগাযোগ করেছেন। এ দুটোর যেকোনো একটাতে আমরা যাব।’
গত জানুয়ারিতে নাশকতার মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করার পর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। প্রতিবারই মেডিকেল চেকআপ করে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা সাতটি মামলার মধ্যে সর্বশেষ সোমবার পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া মির্জা ফখরুলের ছয় সপ্তাহের জামিন বহাল রাখেন। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত ৪ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে পল্টন, মতিঝিলসহ কয়েকটি থানায় নাশকতার মোট সাতটি মামলা হয়। এরপর একে একে সব মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এবং আপিল বিভাগও তা বহাল রাখেন।
কিন্তু ২১ জুন পল্টন থানার তিন মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেন। গতকাল সোমবার সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে তাঁর জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
মির্জা ফখরুলকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।