রাজন হত্যার বিচার চাইলেন জয়
সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনের ওপর নির্মম অত্যাচার এবং তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে আমাদের পুলিশ। রাজন ছিল একজন অবোধ শিশু। এই দানবদের সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত।’
সজীব ওয়াজেদ জয় আরো উল্লেখ করেন, ‘এই প্রেক্ষিতে আমি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দ্রুত তৎপরতার উল্লেখ করছি, যার ফলে জেদ্দায় পলাতক একজন সন্দেহভাজন আসামি ধরা পড়েছে। সৌদি সরকার এবং ইন্টারপোলকেও তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।’
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাজনকে। হত্যাকাণ্ডের ভিডিওচিত্রও ধারণ করা হয়। এ ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এ ঘটনায় মুহিত, কামরুল, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালসহ কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়।
রাজনের লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করে মামলার আসামি মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁকে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগমকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না থাকায় পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানা এলাকার লামাকাজি মীরেরগাঁও থেকে গত সোমবার ভোরে ইসমাইল হোসেন আবলুছকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইসমাইল শিশু রাজন হত্যার প্রধান আসামি মুহিত আলমের আত্মীয়।
ওই দিন বিকেলে মামলার অন্যতম আসামি কামরুলকে সৌদি আরবের জেদ্দায় আটক করা হয়। তিনি ঘটনার পরপর পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কামরুল এখন জেদ্দা পুলিশের হাতে রয়েছেন। তাঁকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজার এলাকা থেকে স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বুধবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বুধবার দুপুরে শহরতলির শেখপাড়া থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় এ মামলার আরেক আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়।