রাজন হত্যার ভিডিও ধারণকারী আটক
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও ধারণকারী নূর আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় শহরতলির জাঙ্গাইল গ্রামের স্বজনেরা নূর আহমেদকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পুরো ভিডিও ধারণ করেন নূর আহমেদ। পুলিশ বলছে, নির্যাতনের ভিডিওতে যে অট্টহাসি শোনা গেছে তা নূর আহমেদেরই।
নূর আহমেদকে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।
মুহিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে পুলিশ। ওই দিন মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও আত্মীয় ইসমাইল হোসেন আবলুসকে পৃথক স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরে লিপিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর আরেক আসামি কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় সোমবার তাঁকে আটক করা হয়। এ ছাড়া রাজন হত্যাকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে দুই প্রত্যক্ষদর্শী আজমত উল্লাহ ও ফিরোজ আলীকে মঙ্গলবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজার এলাকা থেকে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে শহরতলির শেখপাড়া থেকে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় আরেক আসামি দুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার শুরুতে দুলালের নাম এজাহারে না থাকলেও রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে এজাহারে নাম অন্তর্ভুক্ত করে পুলিশ।