কাতার থেকে গ্যাস আমদানি শুরু হলে সংকট থাকবে না
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি শুরু হলে দেশে গ্যাস সংকট থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ মুহাম্মদ আল-দেহিমির সঙ্গে বৈঠকে পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের গ্যাসের চাহিদা মেটানোর জন্য কাতার থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি এমওইউ (সমোঝতা স্মারক) স্বাক্ষর করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এলএনজি টার্মিনালের কাজ শেষ হবে। তখন দেশে গ্যাসের কোনো সংকট থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ দেশের কল-কারখানায় প্রয়োজনীয় গ্যাস সংযোগ নেওয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র কাতার বিশ্বের বৃহৎ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ। কাতার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১০০ মিলিয়ন টন এলএনজি রপ্তানি করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কাতারের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি ছাড়া বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য খুব বেশি নয়। গত বছর বাংলাদেশে কাতারে ২৬ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। একই সময় সেখান থেকে ১৫২ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। সেখানে কয়েক লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। আরো জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। কাতারে সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশে জনশক্তি কাজ করে যাচ্ছে।
তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের শাক-সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে কাতারে। বর্তমানে চাহিদা মোতাবেক তা রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। রপ্তানির আগে শাক-সবজি প্রক্রিয়াকরণের পর্যাপ্ত প্লান্ট বাংলাদেশে নেই। এ খাতে কাতার বিনিয়োগ করলে রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কাতারের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, কাতারে ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, আইটি সংশ্লিষ্ট পণ্য, হিমায়িত মাছ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি ও উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে কাতারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করা সম্ভব।