কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকলে ফেসবুকে পোস্ট করার আহ্বান
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গাফিলতি করলে বর্জ্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, পোস্ট দেওয়ার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সিটি করপোরেশনের মনিটরিং টিম ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে।
আজ সোমবার সকালে নগর ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হটলাইন চালু করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে করপোরেশন ঘোষিত সময়ের পরও কোথাও কোরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকলে তা অপসারণে নাগরিকরা হটলাইনের সাহায্য নিতে পারবেন। যার নম্বর হচ্ছে- ০৯৬১১০০০৯৯৯। হটলাইনে ফোন করলেই করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকর্মীরা দ্রুত আবর্জনা অপসারণ করবেন।
কোরবানির বর্জ্য দ্রুত ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আজ নগর ভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পশুর ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, নগরীর বিভিন্ন পশুর হাটে সিটি করপোরেশনের পরিচালনাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করবেন। এতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, পশু চিকিৎসক, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। কোনো ব্যবসায়ী পশুর হাটে অসুস্থ ও রুগণ গরু আনলে তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও আসন্ন ঈদুল আজহায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই লাখ ৭৫ হাজার পশু কোরবানি হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এসব এলাকায় প্রায় ২৫ হাজার টন কোরবানির বর্জ্য হতে পারে। এসব বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য ঈদের দিন দুপুর থেকে ডিএসসিসির সাড়ে ১২ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী টানা কাজ করে যাবেন। এ সময় ডিএসসিসির ৩৫০টি গাড়ি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিও বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
মেয়র বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় পশু কোরবানির জন্য ৬২৩টি নির্দিষ্ট স্থান থাকবে। তিনি এসব নির্দিষ্ট স্থানে নগরবাসীকে পশু কোরবানি করার আহ্বান জানান।