বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার শিশু মুক্তামনির হাতে দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অস্ত্রোপচার করা হয়।   

এর আগে গত ১২ আগস্ট মুক্তামনির প্রথম অস্ত্রোপচার করা হয়। 
 
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন সাংবাদিকদের জানান, আজ সকালে বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয় মুক্তামনিকে। সকাল সাড়ে ৯টায় তার অস্ত্রোপচার শুরু করা হয়। অস্ত্রোপচার ২০ ভাগ হওয়ার পর তার শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং জ্বর আসে। এ জন্য অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়। 

সামন্তলাল সেন আরো জানান, মুক্তামনির অস্ত্রোপচার স্থগিত করার পর তাকে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। ঈদের পরে আবার বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করা হবে।     

মুক্তামনির বয়স যখন দেড় বছর, তখন ডান হাতে একটি টিউমারের মতো হয়। পরে তা ফুলে যেতে থাকে। পরে পুরো ডান হাতটি ফুলে বালিশের মতো হয়ে যায়। ওই হাত থেকে দুর্গন্ধও বের হতে থাকে। রোগটি তার বুক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে মুক্তামনির বিষয়টি সবার নজরে আসে। গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার জন্য গঠিত আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, মুক্তামনি একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। এ রোগটির নাম ‘হাইপারকেরাটোসিস’।

মুক্তামনির কাগজপত্র সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুক্তামনির অসুখ আরোগ্যযোগ্য নয়। তবে ঢামেকের চিকিৎসকরা রোগ সারাতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।