রাজনকে হত্যার কথা স্বীকার করল দুই আসামি
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন দুলাল আহমদ ও নূর আহমেদ।
সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আনোয়ারুল হক ওই দুই আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করেন। রাজন হত্যা মামলায় দুলাল ও নূরসহ এ নিয়ে মোট পাঁচজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন কোর্টের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ সাংবাদিকদের জানান, রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিওচিত্র ধারণ করার কথা স্বীকার করেছেন নূর আহমেদ। নূর জানিয়েছেন, প্রায় আধাঘণ্টার মতো মুঠোফোনে ওই চিত্র ধারণ করেন তিনি। পরে রাজনকে জীবিত অবস্থায় রেখেই আম্বরখানায় চলে যান। পরে কুমারগাঁও ফিরে জানতে পারেন যে রাজন মারা গেছে। অন্যদিকে রাজনকে নির্যাতনে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন দুলাল।
আবদুল আহাদ বলেন, ‘এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাওয়া সম্ভব হবে।’
গত ১৬ জুলাই দুলাল ও নূরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের হেফাজতে (রিমান্ডে) নেয় পুলিশ।
এর আগের দিন অর্থাৎ ১৫ জুলাই সিলেট শহরতলির জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা নূর আহমেদকে তাঁর স্বজনরাই পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। একই দিন শহরতলীর শেখপাড়া থেকে দুলালকেও পুলিশে সোপর্দ করে তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী। মামলার শুরুতে দুলালের নাম এজাহারে না থাকলেও রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে এজাহারে নাম আওতাভুক্ত করে পুলিশ।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।