মিয়ানমারের গণহত্যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর যে গণহত্যা চলছে তা মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক।
আজ রোববার সকালে কক্সবাজারের নতুন করে আসা রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন রিয়াজুল হক। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমারের বিচারের দাবিও জানান।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালীসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে যান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের মুখ থেকে মিয়ানমারে গণহত্যা ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বর্ণনা শোনেন।
এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
মিয়ানমার সরকারের দাবি, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরসা এই হামলার দায় স্বীকার করে।
এ ঘটনার পর পরই মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্তে এখনো শরণার্থীদের ঢল রয়েছে।
রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দাবি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে গ্রামের পর গ্রামে হামলা-নির্যাতন চালাচ্ছে। পুরুষদের গুলি করে মারছে আর নারীদের ধর্ষণ করছে। মুসলিম অধ্যুষিত গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে।