অল্পের জন্য বাঁচল রোহিঙ্গা শিশুটির প্রাণ
মিয়ানমারের সামরিক সেনা ও তাদের লোকজন ঘোষণা দিচ্ছে রোহিঙ্গাদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য। অতর্কিতভাবে আসা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে চলছে বাড়িঘরে আগুনও। ঘরে আগুন দেখে আতঙ্কিত আলম দ্রুত বের হয়ে এলেও আনতে পারেননি দুই বছর বয়সী সন্তান আজিজকে। পরে জ্বলন্ত ঘরে ঢুকে আলম উদ্ধার করেন আদরের সন্তানকে। কিন্তু ততক্ষণে পিঠ ও পায়ের কিছু অংশ পুড়ে গেছে সোনামণির।
মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে আসা তিন লাখের অধিক রোহিঙ্গার একজন আলম। গতকাল সোমবার দুপুরে শিশু আজিজকে নিয়ে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি এখানে এসেছেন চার দিন হয়েছে।
৩৫ বছর বয়সী আলম মিয়ানমারের নদীতে, খালে মাছ ধরে জীবনযাপন করতেন। তিনি বলেন, ‘আগুন থেকে আজিজকে উদ্ধারের পর কোনো দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা দিই। বাংলাদেশে আসার পরই আজিজ একটু-আধটু চিকিৎসা পেয়েছে। আজিজের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। কিন্তু নিয়মিত খাবার না পেয়ে দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ কারণেই রাস্তায় ছেলেকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।’
আলম জানান, কিছুক্ষণ পরপর ট্রাক বা মাইক্রোবাসে করে ত্রাণসামগ্রী আসে রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য। সে সাহায্য পেতে অন্যদের মতো ছেলে আজিজকে নিয়ে আলম ছোটাছুটি করেন। ভাগ্যে থাকলে রুটি বা বিস্কুট হাতে আসে। কিন্তু দুর্বল, অসুস্থ আজিজ বেশির ভাগ সময়ই ঘুমিয়ে থাকে। মাঝেমধ্যে ছোটাছুটির সময় ঘুম ভাঙে শিশুটির।