বছর শেষে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬ লাখ
চলতি বছর শেষে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের সংখ্যা ছয় লাখের কাছাকাছি হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’।
আজ রোববার ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর বাংলাদেশ প্রধান মার্ক পিয়ার্স জাতিসংঘের তথ্যের বরাত এ আশঙ্কার কথা জানান।
পিয়ার্স জানান, মিয়ানমারে সহিংসতা চলতে থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা থাকবে ছয় লাখ।
পিয়ার্স আরো বলেন, এটি আসলেই শঙ্কার বিষয় যে, এই শিশুরা খুবই হয়রানি ও পাচারসহ বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের চোখের সামনে হত্যা ও সহিংসতা হয়েছে। অনেকেই বলেছে, তাদের সামনে তাদের মা-বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে কমপক্ষে চার লাখ রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু। এক হাজার ১০০ শিশু পালিয়ে এসেছে মা-বাবা ও পরিবার ছাড়াই। রাখাইন থেকে মোট ১১ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এদিকে, প্রতিদিনই বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়ায় বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে বাড়ছে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। পাকিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এক হাজার ৪০০ শরণার্থী শিবির তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সেখানে চার লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিতে পারবে।
গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন এআরএসএ এই হামলার দায় স্বীকার করে। পরে ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।